ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৫৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৬টা-১০টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দু’টি বাড়ি ও একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্লার সঙ্গে হেমায়েত হোসেনের বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় লুৎফর রহমান ও নজরুলের কাছে থাকা স্থানীয় মসজিদের দরজার চাবি চাইতে যান মৌলভী হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা। এ সময় তারা চাবি না দেওয়ায় দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যেকথা কাটাকাটি হয়।
কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, বাহিরদিয়া মাদরাসার আলেমা-ওলামা ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা গিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং উভয়পক্ষ শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। তবে আজ (শুক্রবার) সকালে হেমায়েতের সমর্থকরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে হামলা চালায়।ইমরানের লোকজনও পাল্টা হামলা করলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দু’টি বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ৫৫ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
সকালবেলা/এমএইচ