শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ দেশের সরকারি কলেজগুলোকে চারটি ক্যাটাগরিতে (এ, বি, সি ও ডি) বিভাজন করেছে। আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) জারি করা প্রজ্ঞাপনে প্রশাসনিক প্রয়োজনেই এই পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে বলে জানানো হয়। উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে দেশের সরকারি কলেজগুলোকে চার ক্যাটাগরিতে বিভাজনের এটি প্রথম উদ্যোগ।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে বর্তমানে সরকারি কলেজের সংখ্যা ৭০৮টি। এর মধ্যে ছাত্রছাত্রীসংখ্যা, অনার্স বিষয়ে সংখ্যা ও শিক্ষা কার্যক্রমের পরিসর বিবেচনায় মোট ৮১টি কলেজকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ক্যাটাগরি বিভাজন যেভাবে:
| ক্যাটাগরি | ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা | অনার্স বিষয়ের সংখ্যা | প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা |
| এ | ৮,০০০-এর বেশি | ১০টির বেশি | ৮১টি |
| বি | ৪,৫০০ থেকে ৭,৯৯৯ | কমপক্ষে ৫টি | ৯৮টি |
| সি | ৮,০০০-এর কম | ৫ থেকে ৮টি | ৪৪৬টি |
| ডি | শুধু উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় | প্রযোজ্য নয় | ১০৭টি |
‘এ’ ক্যাটাগরির উল্লেখযোগ্য কলেজসমূহ:
প্রজ্ঞাপনে প্রকাশিত ৮১টি ‘এ’ ক্যাটাগরির সরকারি কলেজের তালিকায় রয়েছে—ঢাকা কলেজ (ঢাকা), চট্টগ্রাম কলেজ (চট্টগ্রাম), ইডেন মহিলা কলেজ (ঢাকা), রাজশাহী কলেজ (রাজশাহী), সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ (চট্টগ্রাম), কবি নজরুল সরকারি কলেজ (ঢাকা), সরকারি ব্রজমোহন কলেজ (বরিশাল), মুরারি চাঁদ কলেজ (সিলেট), সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ (পাবনা), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ (কুমিল্লা), কারমাইকেল কলেজ (রংপুর), সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ (ফরিদপুর), সরকারি আজিজুল হক কলেজ (বগুড়া), সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ (ঢাকা), সরকারি সিটি কলেজ (চট্টগ্রাম), সরকারি বাঙলা কলেজ (ঢাকা), সরকারি তিতুমীর কলেজ (ঢাকা) এবং বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ (ঢাকা)।
উল্লেখ্য, এর আগে কোনো জাতীয় পর্যায়ে সরকারি কলেজগুলোর এমন ক্যাটাগরিভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাসের নজির পাওয়া যায়নি।
মারুফ/সকালবেলা
মন্তব্য করুন