স্টাফ রিপোর্টার, সাভার:
ধামরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মোহাদ্দেস হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় উদ্ধার করা হয় পাসপোর্ট, ইয়াবা, নগদ টাকা ও একাধিক মোবাইল ফোন।
আটককৃতরা হলেন- ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ধামরাই পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সুজন (৪৫), ধামরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান (৪২), নবযুগ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম (৩০) এবং ছাত্রলীগ নেতা আহাদ হোসেন (৩২)।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার সেনানিবাস সংলগ্ন নবীনগর পেট্রোল পাম্পের কাছাকাছি নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়।
সেনা সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভার সেনানিবাস সংলগ্ন নবীনগর এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল। অভিযানে নবীনগর পেট্রোল পাম্পের নিকটবর্তী নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক থেকে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগের এই পাঁচ নেতাদের আটক করেন তারা। অভিযান চলাকালে উদ্ধার করা হয় সাতটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, একটি বাটন মোবাইল, একটি পাসপোর্ট, একটি খালি সিরিঞ্জ, দুই পিস ইয়াবা বড়ি ও নগদ ১৩ হাজার ৭৩৫ টাকা। পরে আটক ব্যক্তিদের উদ্ধারকৃত মালামালসহ ধামরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা আন্দোলনের সময় ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ গেটের সামনে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এতে কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিন পর, ৮ আগস্ট সকালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট সাবেক এমপি বেনজীর আহমদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও ৮০–৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন,আটককৃতরা সাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।
সকালবেলা/এমএইচ