
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), দেশের প্রধান বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা, টানা কয়েক বছর ধরে বড় ধরনের আর্থিক লোকসানের মুখোমুখি।
বিশেষ করে গত দুই অর্থবছরে কোম্পানির ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬৩০ কোটি টাকা হয়েছে, যা শুধু কোম্পানির আর্থিক অবস্থাকেই প্রভাবিত করছে না, বরং দেশের বিদ্যুৎ খাতের স্থিতিশীলতাকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোম্পানির কর পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১২৫ কোটি টাকার বেশি। এই বড় লোকসানের কারণে ডেসকো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েছে বিরত থাকতে। অর্থাৎ, শেষ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীরা কোনো নগদ লভ্যাংশ পাননি।
ডেসকোর আর্থিক ইতিহাস বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায় যে, কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডেসকোর শেয়ারপ্রতি নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭২ পয়সা, যা মোট ৫০৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সমান। এটি আগের অর্থবছর ২০২২-২৩-এর তুলনায় কিছুটা কম হলেও, তখন শেয়ারপ্রতি নিট লোকসান ছিল ১৩ টাকা ৬১ পয়সা, যা মোট ৫৪১ কোটি ২১ লাখ টাকার সমান। এই তথ্য স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে, টানা তিন বছরের মধ্যে কোম্পানি ক্রমাগত আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে এবং বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক ক্ষতি শুধুমাত্র কোম্পানির আর্থিক দুরবস্থা নয়, বরং দেশের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা ও অপচয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অপচয় নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের সঠিক পরিকল্পনা এবং পর্যাপ্ত ট্যারিফ নির্ধারণ না হওয়া, এসব কারণের মিলিত প্রভাবেই ডেসকোর লোকসান বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, বিদ্যুৎ সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহার না করা, লোড শেডিংয়ের অনিয়ম, এবং গ্রাহক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, এসব সবই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা প্রভাবিত করছে।
এর পাশাপাশি, বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেন যে, দীর্ঘমেয়াদি লোকসান শুধু ডেসকোর জন্যই সমস্যার সৃষ্টি করছে না, বরং এটি দেশের বিদ্যুৎ খাতের স্থিতিশীলতা ও সাধারণ ভোক্তাদের সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপরও প্রভাব ফেলছে।
তাই বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে অপচয় নিয়ন্ত্রণ, সঠিক ট্যারিফ নির্ধারণ এবং উন্নত পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে কোম্পানিকে পুনরায় লাভজনক অবস্থায় আনা সম্ভব। না হলে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ডেসকোর আর্থিক ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠবে।
ডেসকোর ধারাবাহিক লোকসান সরাসরি বিনিয়োগকারীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। লোকসানের কারণে কোম্পানিটি লভ্যাংশ প্রদানে বাধ্য হয়ে বিরত থাকতে হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ডেসকো বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় অনেকটা স্থির ছিল।
উল্লেখযোগ্য যে, গত আট বছরের মধ্যে কোম্পানি মাত্র একবার ১২ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল, বাকি সময়ে প্রতি বছরই ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হতো। তবে টানা আর্থিক ক্ষতির কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে, এই ধারাবাহিক ক্ষতি কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাদের ধারণা অনুযায়ী, যদি কোম্পানি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ভবিষ্যতে লভ্যাংশ প্রদানে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারে শেয়ার মূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে উদ্বেগের বিষয় হলো, কোম্পানির আর্থিক দুরবস্থা শুধু বিনিয়োগকারীদের লাভের সম্ভাবনা সীমিত করছে না, বরং নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃস্থাপনের জন্য কোম্পানিকে প্রয়োজন দ্রুত আর্থিক পুনর্গঠন, অপচয় নিয়ন্ত্রণ এবং লাভজনক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। তাতেও যদি অল্প সময়ের মধ্যে ফল পাওয়া না যায়, তবে কোম্পানির শেয়ার বাজারে অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি বাড়তে পারে। সুতরাং বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।
ডেসকোর টানা আর্থিক ক্ষতির পেছনে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে, যা কোম্পানির আর্থিক ও পরিচালনাগত দুর্বলতা প্রকাশ করছে। প্রথমত, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্যহীনতা। গ্রাহকদের বিদ্যুৎ চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় কোম্পানি প্রাকৃতিকভাবে লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছে। বিশেষ করে চাহিদা বৃদ্ধির সময় যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারায় হঠাৎ লোডশেডিং বা অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, অপচয় ও প্রযুক্তিগত সমস্যা। প্রাচীন ও অপ্রযুক্তিজনিত লাইন, ট্রান্সফরমার এবং বিতরণ ব্যবস্থার কারণে বিদ্যুৎ অপচয় বৃদ্ধি পেয়েছে। লাইন ক্ষতি, চুরি এবং অব্যবস্থাপনার ফলে কোম্পানি উৎপাদিত বিদ্যুতের বড় অংশ গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। এই অপচয় শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, বরং দেশের বিদ্যুৎ খাতের কার্যকারিতাকেও দুর্বল করছে। তৃতীয়ত, নিম্ন ট্যারিফ নীতি। বিদ্যুৎ ভোগীদের জন্য নির্ধারিত ট্যারিফ যথেষ্ট নয়, যার ফলে কোম্পানির আয় খরচ পূরণের তুলনায় অনেক কম। ট্যারিফ বৃদ্ধির অনুপস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক চাপ বৃদ্ধি করছে এবং কোম্পানিকে লোকসানের দিকে ধাবিত করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, শুধুমাত্র অপচয় হ্রাস এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পুনর্গঠন, ট্যারিফ সংস্কার এবং দক্ষতা বৃদ্ধিও অপরিহার্য। এ ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং পরিকল্পিত বিনিয়োগ গ্রহণও জরুরি। অন্যথায়, ডেসকোর এই ধারাবাহিক লোকসান শুধু কোম্পানির জন্যই সমস্যা সৃষ্টি করবে না, বরং দেশের বিদ্যুৎ খাতের স্থিতিশীলতাকে গভীর হুমকিতে ফেলে দিতে পারে।
ডেসকোর আর্থিক সংকট মোকাবিলায় সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো তৎপর। তারা কোম্পানিকে আর্থিক পুনর্বিন্যাস, উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং অপচয় কমানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন লাইন ও ট্রান্সফরমার আধুনিকীকরণ, বিদ্যুতের সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি এবং লস কন্ট্রোলের জন্য প্রযুক্তিগত সমাধান গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারের প্রতিক্রিয়াও তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষণীয়। শেয়ারহোল্ডার এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশাবাদ কিছুটা বাড়লেও, দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আস্থা পুরোপুরি ফিরে আসেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারি উদ্যোগ একদিকে কার্যকর হলেও, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে এগুলো যথেষ্ট নয়। কোম্পানির টেকসই আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন সম্পূর্ণ সমন্বিত পরিকল্পনা, যাতে অপচয় হ্রাস, ট্যারিফ সংস্কার, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে বাস্তবায়িত হয়। এছাড়া, বাজারে শেয়ারমূল্যের ওঠানামা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর সরাসরি নির্ভর করছে। তাই শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগ নয়, কৌশলগত পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক কার্যক্রম ছাড়া ডেসকোর অবস্থার স্থিতিশীলতা অর্জন কঠিন হবে। সংক্ষেপে, সরকারের পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় হলেও, টেকসই সমাধানের জন্য আরও ব্যাপক ও সমন্বিত নীতি গ্রহণ অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তি, উন্নত ট্রান্সফরমার, এবং বৈদ্যুতিক লাইন নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করলে সরবরাহের নির্ভরযোগ্যতা বাড়বে, অপচয় কমবে এবং লাইন লসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি হ্রাস পাবে। ডেসকোকে গ্রাহক সেবা উন্নয়নেও গুরুত্ব দিতে হবে। সময়মতো বিল আদায়, গ্রাহক অভিযোগ তত্ত্বাবধান, এবং চুরি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক ও পরিচালনাগতভাবে শক্তিশালী হবে। এর পাশাপাশি, নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন এবং সবুজ শক্তির সংযোজন কোম্পানিকে আয়ের নতুন উৎস তৈরি করতে সাহায্য করবে। নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার শুধু পরিবেশ বান্ধব নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে লোকসানের বোঝা হ্রাস এবং লাভজনকতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও নবায়ন প্রক্রিয়া একত্রিতভাবে ডেসকোর আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং বিদ্যুৎ খাতের টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
ডেসকো যদি তার আর্থিক ও পরিচালনাগত কাঠামো পুনর্বিন্যাস করতে সমর্থ হয়, তবে এই ধারাবাহিক লোকসানের ধারা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে। এর মাধ্যমে কোম্পানি কেবল আর্থিক সংকট মোকাবিলা করবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও লাভজনকতা অর্জনের সম্ভাবনা তৈরি করবে। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃস্থাপন এবং নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য স্বচ্ছতা, কার্যকর নীতি এবং নির্ভরযোগ্য ট্যারিফ ব্যবস্থা অপরিহার্য। বিনিয়োগকারীরা তখন শুধু বর্তমান আর্থিক অবস্থার প্রতি নয়, বরং কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিচালনা ও বৃদ্ধির দিকেও আস্থা রাখবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ডেসকোর আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। প্রথমত, আধুনিক প্রযুক্তি ও স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। এতে সরবরাহের কার্যকারিতা বাড়বে, লাইন লস হ্রাস পাবে এবং অপচয় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। দ্বিতীয়ত, বিদ্যুতের অপচয় হ্রাসে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ অপরিহার্য। প্রাচীন লাইন ও ট্রান্সফরমার আধুনিকীকরণ, লাইন চুরি প্রতিরোধ এবং পরিচালনাগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কোম্পানি অর্থনৈতিক ক্ষতি কমাতে সক্ষম হবে। তৃতীয়ত, ট্যারিফ কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা দরকার। পর্যাপ্ত ট্যারিফের মাধ্যমে কোম্পানির আয়ের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে লাভজনকতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, নবায়নযোগ্য শক্তি ও সবুজ প্রকল্প সংযোজন, গ্রাহক সেবা উন্নয়ন, এবং মানবসম্পদ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডেসকোকে একটি টেকসই, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। যদি এই সুপারিশসমূহ বাস্তবায়িত হয়, ডেসকো কেবল ক্ষতি হ্রাস করবে না, বরং দেশের বিদ্যুৎ খাতের স্থিতিশীলতা এবং সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
সংক্ষেপে, ডেসকোর টানা তিন বছরের লোকসান, দুই বছরে প্রায় ৬৩০ কোটি টাকার ক্ষতি এবং বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ বঞ্চিত হওয়া সব মিলিয়ে দেশের বিদ্যুৎ খাত এবং বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা। সরকারি সহায়তা, কার্যকর পুনর্গঠন এবং বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, যদি যথাযথ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হয়, তবে ডেসকো আবার স্থিতিশীল, লাভজনক এবং আধুনিকীকৃত বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে সক্ষম হবে। দেশের বিদ্যুৎ খাতের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে এবং দেশের বিদ্যুৎ খাতকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য করার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে।
সকালবেলা/এমএইচ