প্রিন্ট এর তারিখঃ Oct 12, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Oct 12, 2025 ইং
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করলেন ড. ইউনূস

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের অনুমোদনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজের ভোটার এলাকা পরিবর্তন করেছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।এনআইডি ডাটাবেজ অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা এ পর্যন্ত ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত ছিলেন মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্স ঠিকানায়। তবে সম্প্রতি তার ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড, ঢাকা-১৭ আসনের গুলশান-২ এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে লিখিতভাবে ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য এনআইডিতে আবেদন করেন। এরপর এনআইডি মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার আবেদনটি অনুমোদন করেন। পরবর্তী দিনে, অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারি, প্রধান উপদেষ্টার ভোটার এলাকা পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদন সংশোধন করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, ভোটার এলাকা পরিবর্তন একটি সাধারণ প্রক্রিয়া হলেও এটি নীতিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ভোটারদের ঠিকানা নির্বাচনি এলাকায় ঠিকভাবে হালনাগাদ থাকা প্রয়োজন, যাতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হন। প্রধান উপদেষ্টার এই পরিবর্তনও তার নির্বাচনি যোগ্যতা এবং ভোটার অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও নিয়মিতভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সকল ধাপ নিরাপত্তা ও যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট এলাকার ইলেকটোরাল রোল-এ প্রধান উপদেষ্টার নাম হালনাগাদ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের উপদেষ্টা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভোটার এলাকা পরিবর্তন সংক্রান্ত এই ধরনের পদক্ষেপ সাধারণ জনগণের জন্য উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে। এটি নির্বাচনি স্বচ্ছতা এবং ভোটার অধিকার রক্ষায় সহায়ক হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিশ্চিত হয়েছেন যে, তার ভোটার তথ্য বর্তমান ঠিকানায় হালনাগাদ এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচনি কার্যক্রমে তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন মনে করিয়ে দিয়েছে, ভোটারদের নিজের ঠিকানা হালনাগাদ রাখাটা তাদের নাগরিক দায়িত্ব। এটি নির্বাচনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু ভোট পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সকালবেলা/এমএইচ
াাা