পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে ভোরের আকাশজুড়ে এখন ঘন কুয়াশার আবরণ। মৌসুমী বায়ুর নিষ্ক্রিয়তায় বইছে উত্তরের হিমেল বাতাস। ভোরের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ আগাম শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। কয়েক দিন ধরেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন আবহাওয়া বিরাজ করছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর ) থেকে প্রতিদিন ভোরে পঞ্চগড় শহরসহ আশপাশের অঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। সকাল সাতটা পর্যন্ত চারপাশ ঢেকে থাকে কুয়াশার আস্তরণে। তবে সূর্য ওঠার পর দিনের বেলায় গরম অনুভূত হয়।
বাংলাদেশের শীতপ্রধান জেলা হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড়ে সাধারণত অক্টোবরের শুরু থেকে শীতের আমেজ শুরু হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কনকনে শীতে কাঁপে উত্তরাঞ্চল। তবে এবার শীত মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই শরতের আকাশে মেঘ, হালকা বৃষ্টি আর ভোরের কুয়াশা শীতের আগমন টের দিচ্ছে। বর্তমানে দিনে ২৮ থেকে ২৯ এবং রাতে ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রাতে গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
শীতের বার্তায় মাঠে শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজি, আলু ও গমের আবাদ। ভোরের শিশির, কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় প্রকৃতি নিচ্ছে নতুন রূপ। সন্ধ্যায় তাপমাত্রা কমে গিয়ে স্থানীয়দের শীতের পোশাক পরে বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে। শহরের লেপ-তোশকের দোকানগুলোতেও ব্যবসায়ীরা শীতের প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে সর্দি, জ্বর ও শীতজনিত রোগে ভুগছে অনেকে। শিশু ও বয়স্কদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে রোগীদের। শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, এ সময়ে সর্দি-জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ স্বাভাবিক। ঠান্ডা ও বাসি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং সন্ধ্যার পর অযথা বাইরে না থাকাই ভালো।
পঞ্চগড় শহরের লেপ-তোশক ব্যবসায়ী মনছুর আলম বলেন, শীতের শুরুতেই পণ্য মজুত করা দরকার। কারণ, শীত তীব্র হলে চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি দামও বেড়ে যায়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পর্যবেক্ষক) জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, শনিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।